৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অনেকটা প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতিকে জায়েজ করতে এক শ্রেণির সরকার সমর্থক ইনিয়ে-বিনিয়ে এটা বলার চেষ্টা করেন যে জামাত, কিংবা বিএনপি তাদের চরিত্রগত কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য বিষফোঁড়া এবং জার্মানীর নাৎসীদের মতো তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে না পারলেও কঠিন করে দিতে হবে, যাতে তারা আর কোনোদিন ক্ষমতার স্বাদ না পায়। এই যুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে… Continue reading ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও একটি দলের অপমৃত্যু
ক্যাটাগরি গণতন্ত্র
২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন – একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাবনা
গত কালকের সমুদ্র-চুরি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোটাদাগে চারটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ ও ২ নম্বর প্রতিষ্ঠানদ্বয় দীর্ঘমেয়াদে (সম্ভবত চিরদিনের জন্য) রাজনীতিতে অপাঙতেয় বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়লো। ১। আওয়ামী লীগ - ঐতিহ্যবাহী এই দলটি ‘ভোট ডাকাত‘ দল হিসেবে বাংলাদেশের আসন্ন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তার প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। বর্তমান রেজিম জোর-জবরদস্তি করে টিকে থাকার চেষ্টা করবে এবং হয়তো… Continue reading ২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন – একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাবনা
নেতৃত্ব, বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট
রাজনীতির দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ক্ষমতা একটা স্টপওভার বা যাত্রাবিরতি মাত্র, কোনোভাবেই গন্তব্য নয়। ক্ষমতার বাইরের রাজনীতিই মানুষের অধিকারের রাজনীতি। একজন রাজনীতিকের আদর্শ লড়াই মানুষের স্বার্থের লড়াই, মানুষের স্বার্থ রক্ষার লড়াই।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কিছু আলোচনা-সমালোচনা
সরকার মাত্রই জনগণের সমালোচনার পাত্র হবে। জনগণ, তাদের প্রতিনিধিত্বকারী দল, পেশাজীবী সংগঠন, নাগরিক সংগঠন - সবার কাজ সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। আমাদেরকেও সরকারের সমালোচনা করতে হবে।... কিন্তু সব বিষয়ে মোটাদাগে সমালোচনা হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে সমালোচনার মেরিট নষ্ট হয়। কারণ একটা পর্যায়ে বিষয়টা ‘ও তো সমালোচনা করবেই’ জাতীয় ক্লিশে-তে হারিয়ে যায়। কিন্তু এই লেবেলিং-এ সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত হয় মধ্যপন্থীরা, সাধারণ আমজনতা যারা এ বা বি দলে নেই। তাদের বোকা ভাবা অনুচিত হবে। সকল মানুষেরই একটা স্তর পর্যন্ত রিজনিং করার সক্ষমতা রয়েছে।
ডিপ স্টেট, গণতন্ত্রায়ন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা
রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এটি মাথায় রাখতে হবে যে অতীত ও বর্তমান শাসকদের একের পর এক অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই গোটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি সমান্তরাল রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। সমসাময়িক রাজনীতি বিজ্ঞানে একে “deep state” নামে অভিহিত করা হয়। এ ধরনের রাষ্ট্রে পর্দার অন্তরালেও একগুচ্ছ রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সক্রিয় থাকে যারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। পাকিস্তান, ইরান ও মিশর এ ধরনের রাষ্ট্রের উদাহরণ যেখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ সামরিকীকরণের ফলে দৃশ্যমান সরকারের চেয়েও অন্তরালের শক্তিশালী ক্রীড়নকের অস্তিত্ব বিদ্যমান। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে সে ধরনের বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে।
নাগরিক সমাজ, উদার গণতন্ত্র ও সমাজ-বিবর্তন ধারা
কিন্তু নাগরিক সমাজের প্রকৃত স্বরূপটি কি? এটি কি রাষ্ট্রের অভিজাত ও উচ্চতর শ্রেণির ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সংগঠিত রূপ? না-কি তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও কাঠামোর আওতা বর্হিভূত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তি? এ প্রশ্নগুলোকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে বিকাশমান নাগরিক সমাজ এখনও তার আত্মপরিচয়ের সন্ধান করে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ প্রায়শই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও অভিজাত শ্রেণির আধিক্যে নিজের গণমূখী চরিত্র ও পরিচয় গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।
সমাজ-রাষ্ট্রে পরিবর্তন কখন ঘটবে, কেন ও কিভাবে ঘটবে
একজন ব্যক্তি নিজের বাস্তবতা, অবস্থান পরিবর্তন করতে তার জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় ব্যয় করে ফেলে। একটি নির্দিষ্ট সমাজের একগুচ্ছ মূল্যবোধ পরিবর্তন এরূপ শত, হাজারো ব্যক্তির শিক্ষা, অভ্যাস, আচরণ পরিবর্তনের বিষয়। সেজন্যই একটা সমাজ ব্যবস্থা কখনো এক, দুই বা দশ বছরে পরিবর্তিত হয় না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে যায়। একটা রাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিবর্তন এরূপ শত-সহস্র সমাজের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পরিবর্তনের সমষ্টি। ক্ষমতার পট-পরিবর্তন ভিন্ন বিষয়, ব্লিপ বা সাময়িক একটি বিষয়। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের রাজনীতি, সামাজিক মূল্যবোধ যেখানে একটি সত্যিকারের কল্যাণমূখী, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ধারণা মানুষের অন্তর্জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণা, সম-অধিকারের ধারণা, সহিষ্ণুতার পাঠ ব্যক্তি-পরিবারের নর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে লড়াই দীর্ঘ।
উগ্রপন্থা ও আমাদের রাজনীতি
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার চিন্তা, মতামত, আদর্শিক অবস্থানের কারণে আক্রান্ত। বাংলাদেশে কবি-সাহিত্যিক-লেখকদের ওপর গুপ্ত হামলা গত কয়েক দশকের প্রপঞ্চ। লক্ষণীয়, ’৯০-পরবর্তী এই কয়েক দশক আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্রেরও দ্বিতীয় পর্যায়। কেন, কোন পরিস্থিতিতে একটা গণতন্ত্রে পরমতসহিষ্ণুতার বদলে চরমপন্থার বিকাশ ঘটেছে তার একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এর আগে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ তার নিজ ক্যাম্পাসে প্রাণঘাতী হামলার… Continue reading উগ্রপন্থা ও আমাদের রাজনীতি
গ্রামীণ সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রভাব: একটি বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের সমাজে দুর্নীতির বিস্তার তথা ক্সনতিক অবক্ষয়ের সামাজিক ও নৃতাত্ত্বিক গবেষণা অপ্রতুল। এই প্রবন্ধের প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজের ক্সনতিক বিবর্তনের একটি সংক্ষিপ্ত স্বরূপ উন্মোচন এবং এর কালক্রমিক অবক্ষয়ের প্রকৃত কারণ নির্ধারণ ও বিশ্লেষণের নিমিত্তে কিছু নিবিড় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা। লেখকের দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় গ্রামীণ সমাজ, ক্ষমতা ও নেতৃত্ব-কাঠামোর সাথে বসবাস, মিথষ্ক্রিয়া, সমাজের… Continue reading গ্রামীণ সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রভাব: একটি বিশ্লেষণ
The question of minority in a majoritarian democracy
...over the last hundred years and with the rise of institutionalism, philosophers and political theorists placed high hope on institutions in order to secure the minorities their equal and respectable place in a democracy. However, contemporary global events suggest that the question of democratic pluralism has returned to square one and reemerges as a deep philosophical question.