‘জয়দেশ’-এ আইনের শাসন

(একটি কল্পিত অনুগল্প। কোনো ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে মিলিয়া গেলে তাহা কেবলই কাকতাল মাত্র) একদা 'জয়দেশ‘ নামে সুজলা-সুফলা-মীরজাফর-মনসুর-এ ভরা এক দেশ ছিলো। আশেপাশের রাজ্যের লোকে কয় জয়দেশের রাণী না-কি ভীষণ চালাক, ভীষণ চতুর। তিনি না-কি জয়দেশে যাহা চান তাহাই ঘটে। যদিও দুষ্টু লোকেরা মিথ্যা-মিথ্যি দাবী করে প্রজারা না-কি রাণী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দু:শাসনে ভেতরে-ভেতরে ভীষণ… Continue reading ‘জয়দেশ’-এ আইনের শাসন

২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী রূপান্তর

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আমি একটি সংসদীয় আসনের একজন প্রার্থীর ক্যাম্পেইন পরিচালনা দলের সাথে গবেষণার আগ্রহ-জনিত কারণে যুক্ত থেকে নির্বাচনটিকে মাঠপর্যায়ে সরাসরি, ঘনিষ্ঠভাবে দেখার ও পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছি। সে আলোকে নির্বাচনে সংঘটিত ব্যাপক অনিয়ম ও ভোট কারচুপির দৃশ্যসমূহ সরাসরি দেখার ও জানার সৌভাগ্য হয়েছে। নির্বাচনে বিরোধী… Continue reading ২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী রূপান্তর

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও একটি দলের অপমৃত্যু

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অনেকটা প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতিকে জায়েজ করতে এক শ্রেণির সরকার সমর্থক ইনিয়ে-বিনিয়ে এটা বলার চেষ্টা করেন যে জামাত, কিংবা বিএনপি তাদের চরিত্রগত কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য বিষফোঁড়া এবং জার্মানীর নাৎসীদের মতো তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে না পারলেও কঠিন করে দিতে হবে, যাতে তারা আর কোনোদিন ক্ষমতার স্বাদ না পায়। এই যুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে… Continue reading ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও একটি দলের অপমৃত্যু

২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন – একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাবনা

গত কালকের সমুদ্র-চুরি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোটাদাগে চারটি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১ ও ২ নম্বর প্রতিষ্ঠানদ্বয় দীর্ঘমেয়াদে (সম্ভবত চিরদিনের জন্য) রাজনীতিতে অপাঙতেয় বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়লো। ১। আওয়ামী লীগ - ঐতিহ্যবাহী এই দলটি ‘ভোট ডাকাত‘ দল হিসেবে বাংলাদেশের আসন্ন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তার প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। বর্তমান রেজিম জোর-জবরদস্তি করে টিকে থাকার চেষ্টা করবে এবং হয়তো… Continue reading ২০১৮ একাদশ জাতীয় নির্বাচন – একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাবনা

নেতৃত্ব, বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট

রাজনীতির দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ক্ষমতা একটা স্টপওভার বা যাত্রাবিরতি মাত্র, কোনোভাবেই গন্তব্য নয়। ক্ষমতার বাইরের রাজনীতিই মানুষের অধিকারের রাজনীতি। একজন রাজনীতিকের আদর্শ লড়াই মানুষের স্বার্থের লড়াই, মানুষের স্বার্থ রক্ষার লড়াই।

Comments on the Prospect of US-Iran War

The speech of US Secretary of State Mike Pompeo at Heritage Foundation on 21 May 2018 reminds us the blatant admission of General Wesley Clark that IRAN is the final target of the US Middle East war game. Mike Pompeo's speech sounds like a prologue to another devastating Middle East war. His seemingly aggressive tone… Continue reading Comments on the Prospect of US-Iran War

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও কিছু আলোচনা-সমালোচনা

সরকার মাত্রই জনগণের সমালোচনার পাত্র হবে। জনগণ, তাদের প্রতিনিধিত্বকারী দল, পেশাজীবী সংগঠন, নাগরিক সংগঠন - সবার কাজ সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া। আমাদেরকেও সরকারের সমালোচনা করতে হবে।... কিন্তু সব বিষয়ে মোটাদাগে সমালোচনা হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে সমালোচনার মেরিট নষ্ট হয়। কারণ একটা পর্যায়ে বিষয়টা ‘ও তো সমালোচনা করবেই’ জাতীয় ক্লিশে-তে হারিয়ে যায়। কিন্তু এই লেবেলিং-এ সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত হয় মধ্যপন্থীরা, সাধারণ আমজনতা যারা এ বা বি দলে নেই। তাদের বোকা ভাবা অনুচিত হবে। সকল মানুষেরই একটা স্তর পর্যন্ত রিজনিং করার সক্ষমতা রয়েছে।

ডিপ স্টেট, গণতন্ত্রায়ন এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা

রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এটি মাথায় রাখতে হবে যে অতীত ও বর্তমান শাসকদের একের পর এক অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের ফলেই গোটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি সমান্তরাল রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। সমসাময়িক রাজনীতি বিজ্ঞানে একে “deep state” নামে অভিহিত করা হয়। এ ধরনের রাষ্ট্রে পর্দার অন্তরালেও একগুচ্ছ রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সক্রিয় থাকে যারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। পাকিস্তান, ইরান ও মিশর এ ধরনের রাষ্ট্রের উদাহরণ যেখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ সামরিকীকরণের ফলে দৃশ্যমান সরকারের চেয়েও অন্তরালের শক্তিশালী ক্রীড়নকের অস্তিত্ব বিদ্যমান। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে সে ধরনের বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে।

নাগরিক সমাজ, উদার গণতন্ত্র ও সমাজ-বিবর্তন ধারা

কিন্তু নাগরিক সমাজের প্রকৃত স্বরূপটি কি? এটি কি রাষ্ট্রের অভিজাত ও উচ্চতর শ্রেণির ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সংগঠিত রূপ? না-কি তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও কাঠামোর আওতা বর্হিভূত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তি? এ প্রশ্নগুলোকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে বিকাশমান নাগরিক সমাজ এখনও তার আত্মপরিচয়ের সন্ধান করে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ প্রায়শই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও অভিজাত শ্রেণির আধিক্যে নিজের গণমূখী চরিত্র ও পরিচয় গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।