নির্মল ক্রীড়া এক প্রকার বিনোদন স্বরূপ, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ‘রাজনৈতিক ক্রীড়া‘ বিপরীত। মানুষকে সংকীর্ণ জাতী-গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে, চিন্তাকে কলুষিত করে। অলিম্পিক প্রতিযোগিতা নিয়েও বর্তমানে চিন্তকরা এ ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন যে এ ধরনের রাষ্ট্র-ভিত্তিক রাজনৈতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মানুষের মাঝে আদৌ কোনো সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করছে (যেটি অলিম্পিকের লক্ষ্য ছিলো) না-কি এ ধরনের প্রতিযোগিতা তাদের আদিম গোষ্ঠী প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তুলছে।
ইতিহাস জুড়ে যুগে-যুগে শাসকরা ক্রীড়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। রোমানরা এই আদিমতাকে ভয়ংকর শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং শোষিত জনগণকে বিভ্রান্ত, ব্যতিব্যস্ত রাখতে পেরেছে। রোমান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে হাসিনা-সম্রাজ্য – সবাই এই সূত্র জানে ও ব্যবহারের চেষ্টা করে। দুর্জয়, জয়, মাশরাফিকে এমপি বানানোও একই রাজনীতির পরিণাম। এখানে খেলার প্রতি কোনো ভালোবাসার বিষয় নেই, বরং মানুষকে বিভ্রান্ত, ব্যতিব্যস্ত করার হাতিয়ার হিসেবে জয়-মাশরাফিরা বিক্রি হন, বুঝে বা না-বুঝে।
মানুষকে ক্রীড়ার রাজনীতিকরণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। নির্মল ক্রীড়া চলুক, রাজনৈতিক ক্রীড়া অবলুপ্ত হোক।
খেলাকে বিনোদন ও সময় কাটানোর অনুষঙ্গ বহির্ভুত ভিন্ন কিছু হিসেবে না দেখার একটি বুদ্ধিভিত্তিক আন্দোলন আবশ্যক। খেলার মধ্যে এত দেশপ্রেম আবিষ্কার ও উস্কে দেওয়া নিখাদ সাম্প্রদায়িকতা। সীমান্তের প্রতি এসব সংকীর্ণ ভালোবাসার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষকে ভালোবাসতে শিখলে তবেই মনের মুক্তি মিলবে।